এম এ করিম : শরৎকালে কাশবনে ছেঁয়ে ঢেঁকেছে যেন পেঁজাতুলার উপর মেঘের অাকাশ।প্রকৃতির গুনজনে চারিদিগ মৌমাছির মৌ মৌ শব্দে মুখরিত করে গ্রাম বাংলার অাশপাশের ফুলের বাগান।
শরতের মেঘ অাকাশে সূর্যের সাথে লুকোচুরিত কাশবনের অপরুপ দিগন্ত যেন ছড়িয়ে পড়ছে প্রকৃতির উপর।
লাল রক্তিম সূর্যের মিষ্টি মধুর তীব্রতা শরতের উত্তেজনার অাঁচড় পড়ছে যেন প্রকৃতির উপড়।
মধ্যোশরতে রোদ্র ছাঁয়ার খেলায় মত্ত মায়ায় প্রকৃতিতে মহাগ্রস্ত শরতের চরাচর।এছাড়াও,প্রকৃতির সবুজ বৃক্ষে ফুলে ফলের নরম মৃদু বাতাসের হাওয়ায় দোলে শরতের কাশবন।
প্রকৃতির কাশবনে শরতের শুভ্রতার বন্দনা যেন শুনতে পাই গ্রামের অাকাশে-বাতাসে।শরতের সূর্য অার প্রকৃতির ভ্রমন প্রান্তর জুড়ে চলে শরতের অন্যতম গগনপ্রান্তে।
অাকাশ ছুঁয়েও যেন না ছুঁয়ে লুকোচুরি খেলা করে শরতের মেলা।তাদের দুষ্টামিকে শাসন করতে মাঝে মাঝে মুখ ভার করে হাজির হয় কালো রংঙের মেঘ নামক তাদের অভিভাবক।
যদিও রাগের অাভাস শেষ হতে সময় লাগেনা অাবারও চলে উচ্ছলতা অার প্রান প্রাচুর্যের উৎসব।শুধু অাসমানেই নয়,অতলস্পর্শের গহ্বরেও রয়েছে মেঘের সঙ্গি অার উৎসবে তাই যোগ দিয়েছে বন্ধুকাশ।
সূর্যের উপস্থিতিতে আর হাসির দূতেই হারাচ্ছে শরতের চরাচর।মেঘের যে রুপ মাটিতে প্রাণ সঞ্চার করে সে রকুম জলরাশি বুকে ধারন করে অাছে সবার মোহময়তা।
শরতের শুভ্রতার এই খেলায় মাতাল হয়ে পড়ে মৌমাছি সহ তাদের গুনগাহীরা, শুধু তাই নয়,তাদের এই মাতোয়ারাই উড়োউড়িতে হাসছে যেন নাম না জানা অসংখ্য ফুলবন।
সূর্যের অালোয় রাতভর অপেক্ষায়মান হয়ে পড়ার পর ক্লান্ত হয়ে গ্রামের কর্দমময় ধুলো ও বালি কোণায় ঝড়ে পড়ে শিউলী ফুল।
প্রকৃতির এই মায়া মমতা ধরে রাখতে শুধু গ্রাম নয় শহরকেও সাজাতে প্রসিদ্ধ হয়ে এগিয়ে অাসতে হবে ছোট-বড় সমশ্রেণী মানুষদেরও।
নতুন প্রজন্মের কাছে চিহ্নিত করে তুলতে হবে শরতের অন্যতম অাক্রর্ষণ সূর্য ও মেঘ অাকাশে বয়ে যাওয়া নদীর ধারে কাশবন ও শিউলী ফুলের রুপকার,নতুবা এমন শরত অচেনা থেকেই যাবে।
গ্রামিণ জনপদ ছাড়াও,শহরের মানুষও শ্রুভ্রতার খোঁজে ভীর জমায়েত করে ঢলে পড়ছে শরতের প্রকৃতির কোলে,অার শরত ও প্রকৃতি যেন অপার হাতে সাজিয়েছে সে অাপন মনে।